মিরর ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালানাগাদ ফলাফল অনুযায়ী, ২২৫ আসনের পার্লামেন্টের ১৯৬টি আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ২৯টি আসন রাজনৈতিক দলগুলো পাবে ১৯৬ আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিস্যা অনুযায়ী।
এনপিপি ১৩৭টি আসনে জয় লাভ করেছে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। এনপিপি প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েক। তবে সে সময় তার নির্বাচনী জোট এনপিপির পার্লামেন্টে মাত্র তিনটি আসন ছিল। এই অবস্থায়, তিনি তার জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন। বর্তমানে, তার জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর, প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া বলেন, আমরা একটি শক্তিশালী পার্লামেন্ট গঠনের জন্য জনরায় (ম্যান্ডেট) পাওয়ার আশা করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে জনগণ আমাদের এই ম্যান্ডেট দেবে। তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন এসেছে, যার শুরু গত সেপ্টেম্বরে। এই পরিবর্তন অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে এনপিপি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়ার হাতকে শক্তিশালী করবে, যার ফলে তিনি তার অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নীতি সহজে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল, যার ফলে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জনগণের প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের মুখে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপরের বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জয়ী হন বামপন্থী রাজনীতিক অনূঢ়া। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ক্ষমতা নেয়ার পর তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং ১৪ নভেম্বর আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।