মিরর স্পোর্টস : বেনি হাওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেই রান তাড়ায় লিটন দাসের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ইনিংসে মাঝের ওভারগুলোতে লাগাম টেনে ধরে সিলেট। জনসন চার্লস-মঈন আলিরা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় রান আর বলের মধ্যে ব্যবধান বাড়ে। লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা করেছেন, তবে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কুমিল্লার। ৫ বলে ৩ রান করে ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৭ রান।
মিডল অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন মঈন আলিও। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ৫ বল খেলে ডাক খেয়েছেন। এক প্রান্তে ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মধ্যেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ছিলেন লিটন। তবে এই ওপেনার সময়মতো গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি। ফলে শেষ দিকে চাপ বেড়েছে।
এর আগে ব্যাট হাতে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও কেনার লুইস। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করা জাকিরকে ফিরিয়ে ৪০ রানের জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। জাকিরের পর সাজঘরে ফিরেছেন লুইসও। ২৫ বলে দুই চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন তিনি।
আবারও ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভুলে যাওয়ার মতো বিপিএলে আজ ১৮ বল মোকাবিলায় করেছেন মোটে ১২ রান। শেষ দিকে হাওয়েল ও মিঠুনের জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়ে সিলেট। তাদের জুটিতে ৪২ বলে আসে ৭৭ রান। ২০ বলে ২৮ রান করেছেন মিঠুন। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুয়েছেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও সুনীল নারাইন। একটি উইকেট পেয়েছেন মুশফিক হাসান।