কুমিল্লা : কুমিল্লার চান্দিনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নাজমুল হাসানকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরেক আসামিকে দেওয়া হয়েছে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।
বুধবার (৬মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া, আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া এবং নয়কামতা গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া। সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে আবুল বাশার।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকালের দিকে চান্দিনার মধ্যমতলা গ্রামের মো. নাজমুল হাসান তার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন নাজমুলকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা আবদুর রব বাদী হয়ে সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল সুমন মিয়া, সোহেল মিয়া, আবুল বাশার ও শিহাব মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরের বছরের ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দান। রায় ঘোষণার সময় পলাতক শিহাব ছাড়া বাকি তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান।