মিরর ডেস্ক : ২০২৪ সালে পৃথিবীর উষ্ণতম জানুয়ারি মাস দেখেছে বিশ্ব। বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস ১৯৫০ সাল থেকে সিথ্রিএস-এর তাপমাত্রা রেকর্ড তালিকায় সর্বোচ্চ। এর আগে উষ্ণতম জানুয়ারির রেকর্ড ছিল ২০২০ সালের। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
১৮৫০ সালের পর পৃথিবীর উষ্ণতম বছরের রেকর্ডে ২০২৩ সাল স্থান পায়। এরপরই উষ্ণতম জানুয়ারির রেকর্ড গড়লো ২০২৪ সাল।
এ বিষয়ে সিথ্রিএস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেন, ‘শুধু রেকর্ড উষ্ণ জানুয়ারিই নয়, আমরা পুরো ১২ মাস প্রাক-শিল্প সময়ের চেয়ে ১.৫ সেন্টিগ্রেড (১.৭ ফারেনহাইট)-এর বেশি তাপমাত্রা অনুভব করেছি।’
মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সাল আরও বেশি গরম হওয়ার এক তৃতীয়াংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এটি শীর্ষ পাঁচটি উষ্ণতম বছরে র্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৯৯ শতাংশ।
জলবায়ুর এল নিনো ঘটনাটি গত মাসে দুর্বল হতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে এটি শীতল পানির স্রোত বা লা নিনায় স্থানান্তরিত হতে পারে। তবে গত মাসে বৈশ্বিক সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা অন্যান্য যে কোনও বছরের জানুয়ারি মাসের রেকর্ডের তুলনায় সর্বোচ্চ ছিল।
জলবায়ুর গুরুতর এবং অপরিবর্তনীয় পরিণতি রুখতে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি নামে একটি জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ব নেতারা। এই চুক্তির আওতায় দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছিল।
তবে এখনও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বিশ্ব। গত বছরই বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে টানা ১২ মাস ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে দেখেছে বিশ্ববাসী।
কিছু বিজ্ঞানীদের মতে, এই লক্ষ্যটি বাস্তবসম্মতভাবে আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি সীমিত করার লক্ষ্যে কার্বন নির্গমন কমাতে বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।