স্টাফ রিপোর্টার : ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। রাত থেকে শুরু করে সকাল ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির পড়ছে। তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতে জবুথবু হয়েও কাকডাকা ভোরে শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হয়েছেন। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। জেলায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে আরও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। এর আগে, বৃহস্পতিবার একই সময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
বীরগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নন্দাই গ্রামের মিরাজুল রহমান (৫০) বলেন, ‘ঠান্ডায় অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। হাতে তেমন টাকা- পয়সা না থাকায় শীতের পুরোনো কাপড় কিনতে পারিনি। খুব কষ্ট করে দিন কাটাতে হচ্ছে। দিনে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’
একই গ্রামের পারুল বেগম (৩৫) বলেন, ‘শীতের জন্য মাঠেও কাজ করা যাচ্ছে না। সরকার থেকে শীতের কাপড়ও দেয়নি। গরিব মানুষ এই শীতে কেমন করে বাঁচবো আল্লাহই জানে।’
ফুলবাড়ী উপজেলার চকচকা গ্রামের ফজিলা খাতুন (৪৮) বলেন, ‘বাতাস আর ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। গরু-ছাগল বাইরে বের করতে পারছি না। শীত, কুয়াশা আর বাতাস কাবু করে ফেলছে।’
কাজের সন্ধানে বিরল থেকে দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে এসেছেন রেজানুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীতে কাজ নেই। তাই ফিরে যাচ্ছি।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।