১ মে, ২০২৪
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১
Mirror Times BD

নৌকা নিয়ে সরকারের এখন মানুষের কাছে যাওয়ার সাহস নেই: আমির খসরু

মিরর ডেস্ক : নৌকা নিয়ে সরকারের এখন মানুষের কাছে যাবার সাহস নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের’ পটভূমিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) চিন্তা করছে বাংলাদেশের মানুষ তো নৌকাকে ভয় পায়, তাই নৌকার কথা শুনলে ভোটকেন্দ্রে যাবে না। তাই এবার নৌকাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। মানে তাদের নৌকা নিয়ে এখন মানুষের কাছে যাবারও সাহস নাই। নৌকাকে কিন্তু এখন তারা বাদ দিয়ে দিয়েছে। অথচ তারাই কিন্তু আইন করেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মার্কা দিয়ে ভোট করার জন্য। তারা আইন সেই বাতিল করে নাই, আইন রেখেছে। এই আইন রেখেই কিন্তু তারা নৌকা নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে না। কারণ ওরা (আওয়ামী লীগ)  দেখছে— নৌকা যেখানে আছে, সেখানে তারা (জনগণ) নাই।’

আমির খসরু বলেন, ‘জনগণ নৌকাকে বয়কট করেছে। তারা এখন নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে যে, এখনতো নৌকা নাই, আপনারা আসতে পারেন। তারা আরেকটি ভাওতাবাজির নির্বাচন করতে যাচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা আজকে ইতিহাস দখল করার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, রাজনীতিবিদরা আজকে ইতিহাসবিদ হয়ে গিয়েছে। ইতিহাসবিদ হওয়ার মধ্যে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে— তারা সবচেয়ে বড় ইতিহাসবিদ। তাদের ইতিহাসকে প্রমাণ করার জন্য আবার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা আছে। এমনকি বিচার বিভাগকেও ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদ যখন ইতিহাসবিদ হয়ে যায়— তখন সেটা আর ইতিহাস থাকে না, সেটা হয়ে যায় প্রোপাগান্ডা। সেই প্রোপাগান্ডাকে ইতিহাসে পরিণত করার জন্য আমাদেরকে ইতিহাসে রিভিজিট করতে হবে। সেটা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নাই।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘যেই দেশে অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ করতে পারবো না,  সেই দেশে থাকবোও না। জন্মগ্রহণ করেছি মানুষের জন্য কথা বলার জন্য। এখন মানুষের জন্য যদি কথা বলতে না পারি, তাহলে আমার জন্মগ্রহণ বৃথা। ২০৪১ সাল পর্যন্ত নাকি এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে। এদের নাকি মৃত্যু নাই।’ এসময় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্ববান জানান তিনি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা কেবল ঘরের মধ্যেই বসে থাকেন। বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী আজকে পা চাটতেই পছন্দ করছেন। কেউ বাধ্য হয়ে, কেউ মনে করছেন টিকে থাকার জন্য এটাই করা দরকার। সামগ্রিকভাবে সমাজের মধ্যে এই যে নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হয়েছে— এখান থেকে বাঁচাতে পারে কেবল মাত্র রাজনীতি।  আমি মনে করি, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমাদের গঠনমূলকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখন যত দেরি হবে তত আমাদের ক্ষতি হবে।’

জেএসডি’র  সভাপতি  আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু,  রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

⠀শেয়ার করুন

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top