অর্থনীতি রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
সোমবার (১৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাজেট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত বিশেষ সভা হয়। সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ অনলাইনে সভায় যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা।
রীতি অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন যেন বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে।
বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি সুনির্দিষ্টভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েকটি খাত গত ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে। এই সুবিধার কারণে এখন তারা যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশের বাজার দখলে নিয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের রপ্তানির দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি করছে না। কর অবকাশের বাড়তি সুবিধা উঠিয়ে নিলে, এসব খাতের উদ্যোক্তারা রপ্তানির প্রতি মনোযোগী হবেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দিলে, এসব খাত বাড়তি সুবিধা হারাবে ঠিকই, কিন্তু সেটি রপ্তানির মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবে। টেকসই অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের সেদিকে যাওয়া প্রয়োজন। রাজস্ব আদায় বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।