ঢাকা : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনে দেশীয় সংবাদমাধ্যমের অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গুমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা অনেকেই এই পরিদর্শনে আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, আয়নাঘর নামে পরিচিত এসব বন্দিশালার কক্ষ ছোট এবং চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় সবাইকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
বুধবার সকালে অধ্যাপক ইউনূস রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে দুটি র্যাব ও একটি ডিজিএফআই পরিচালিত ছিল। এ সময় তার সঙ্গে ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধানসহ পাঁচজন এবং গুমের শিকার আটজন উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার দুপুরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে বলা হয়েছিল, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শন করবেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়ার কারা গিয়েছিলেন?
জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তারা যে জায়গাগুলোতে গিয়েছেন, সেগুলোর ছবি দেওয়া হয়েছে। খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইট ভেঙে যাতায়াতের পথ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ‘লজিস্টিক্যালি’ চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে জন্য বিটিভি থেকে ক্যামেরাম্যান, পিআইডি থেকে ফটোগ্রাফার নেওয়া হয়েছে। আর প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া বাইরে থেকে নেয়া হয়েছে আল-জাজিরা ও নেত্র নিউজ। নেত্র নিউজ বাংলাদেশ ফোকাসড (কেন্দ্রিক) একটি ওয়েবসাইট। তারা আয়নাঘরের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। আরেকজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে নিতে পারেননি, ‘লজিস্টিক্যালি চ্যালেঞ্জিং’ ছিল। সব সাংবাদিক নিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।