২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

সোয়া দুই কোটি শিশুর জন্য ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ

ঢাকা : সারা দেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৫ মার্চ এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে, সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরাম স্কেলিং আপ নিউট্রিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ভিটামিন খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

এতে আরও বলা হয়, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে। আমাদের সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে  পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগে এবং এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন এ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ। বছরে দুই বার ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের এ অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর  ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
এপ্রি ২৬, ২০২৫
temperature icon 32°C
clear sky
Humidity 54 %
Pressure 1007 mb
Wind 8 mph
Wind Gust Wind Gust: 10 mph
Clouds Clouds: 0%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 05:32
Sunset Sunset: 18:33

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top