ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘দেশে এখন থেকে যা কিছু হবে, তা ছাত্র-জনতার রায়ে হবে। কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি কিংবা কোনও পরিবারতন্ত্রের রায়ে কিছু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এখানে এসেও অভিযোগ পেয়েছি, মামলা-মামলা খেলা চলছে। টাকার বিনিময়ে মামলায় নাম দেওয়া হয় এবং টাকা দিলে মামলা থেকে নাম কাটা হয়। সব জায়গায় টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। এজন্যই কি এত ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল? এসব চলবে না, আর করতে দেওয়া হবে না।’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কার সিস্টেমটি চালু হলেই বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। এই সংস্কার ঘর থেকে শুরু হয়ে জেলায় পৌঁছাবে, জেলা থেকে বিভাগে, বিভাগ থেকে রাষ্ট্রে ছড়িয়ে যাবে। আর তখনই আমরা যেমন দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ইতিহাসের সামনের দিকে থাকবে ঠাকুরগাঁও জেলা উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই জেলার ছাত্র-জনতা। মিছিল-মিটিংসহ রণক্ষেত্রে পরিণত হলেও তারা পিছপা হননি। তাদের এই ত্যাগ আমাদের বিজয় এনে দিয়েছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘সারাজীবন শুধু নৌকায় ভোট দেওয়াটা সংখ্যালঘু ভাইবোনদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এমন দুর্বলতা নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন। কোনও কিছু না ভেবে শুধু একটি মার্কায় ভোট দিয়েছেন।’
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম তার এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘এই আসনে মেম্বার থেকে সংসদ সদস্য- সবাই এক পরিবারের। সব জায়গায় তার পরিবারের সদস্য। এসব করে অনেকের জায়গা-জমি দখল করে নিয়েছেন তিনি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সজিব ভূঁইয়া, জহির রায়হান ও আবু সাঈদ স্বপনসহ জেলার সমন্বয়করা।