খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : সংসারে অভাবের কারণে পড়াশোনা থেমে গেছে। তারপরও লক্ষ্য পুরণে পিছপা হননি ২৩ বছর বছরের তরুণ আলমগীর। বিমান তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষকে। তার তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির এ বিমান প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে প্রায় আধাঘণ্টা উড়তে পারে। তার এ উদ্ভাবন দেখতে প্রতিদিন আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছেন।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদাহ গ্রামের আব্দুল মজিদ ও জাহানারা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে আলমগীর। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। প্রাথমিকে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরির কাজে সময় ও অর্থ ব্যয় করতেন আলমগীর। স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। কিন্তু অভাবের সংসারে ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকেই থেমে যায় তার শিক্ষাজীবন।
ক্ষুদ্রাকৃতির বিমানটি তৈরিতে প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মূল বডি তৈরি ককশিট দিয়ে। এছাড়া ট্রান্সমিটার, রিসিভার, লিপো ব্যাটারি, শক্তির জন্য ব্রাসলেস মোটর, ছোট ফ্যান ও চাকা রয়েছে। রিমোট দিয়ে বিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
স্থানীয় শামসুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘আলমগীরের এ কাজে আমরা এলাকাবাসী গর্বিত। তবে অসচ্ছলতার কারণে সে তার প্রতিভা বিকশিত করতে পারছে না। এজন্য সবার সুদৃষ্টি প্রয়োজন।’
বিমানটির নির্মাতা আলমগীর ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল বিমান তৈরি করবো। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তবে আমার একটি ল্যাপটপ ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে ছোট বিমানটি আরও উন্নত করা যেত।’
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, এমন উদ্ভাবনী কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বির্মাণের অগ্রযাত্রায় একটা উদাহরণ। এ প্রযুক্তি বিকাশে প্রশাসন তার পাশে থাকবে।