২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

আইন আছে বিধি নেই

নবগঠিত সরকার সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে ধরায়। প্রাধিকার দিয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মূল্যস্ফীতি-মুদ্রাস্ফীতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজারে যে বা যারা অবৈধ মজুতসহ দাম বাড়াতে কারসাজি করে থাকে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে কিছু পদক্ষেপ। এতটার পরেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, নিত্যপণ্যের বাজারে এসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমনের ভরা মৌসুমেও বাজারে মোটা চালসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুলাংশে।

চালসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি সামলাতে খাদ্যমন্ত্রী এবার জোর দিয়েছেন সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান ও জেল-জরিমানার ওপর। চালের বাজার ও দাম নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি পর্যবেক্ষক টিম। তবে আইন থাকার পরেও বিধিমালা না থাকায় অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, গত তিনমাস ধরে বিধিমালাটি পড়ে আছে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য। ভেটিং দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আইনমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ)’ আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত, খাদ্যদ্রব্য পোলিশিং অথবা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং ও ভেজাল মেশালে তা হবে গুরুতর দন্ডনীয় অপরাধ। এখানে খাদ্যদ্রব্য বলতে চাল-ধান, গম-আটা, ভুট্টা, ভোজ্যতেল, গুঁড়াদুধ ইত্যাদি বোঝানো হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের নিমিত্ত বিধিমালাটি অবিলম্বে জারি করা হলে সর্বস্তরের মানুষ বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

রমজানকে সামনে রেখে চাহিদার তুলনায় বিপুল পরিমাণে পণ্য আমদানি হয়েছে ইতোমধ্যে। মজুতও যথেষ্ট এবং আশাব্যঞ্জক। আগামীতে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই প্রত্যাশা। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। যে কোনো মূল্যে বাজারদর নিয়ন্ত্রণসহ সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার জন্য মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো এবং অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে নিয়মিত তদারকি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কয়েকটি বড় চালের আড়ত, ভোজ্যতেল কারখানা ও দোকান পরিদর্শনসহ তাৎক্ষণিক জরিমানা এবং অনিয়মের অভিযোগে বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুরূপ চলেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ-বন্দরসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন পণ্যের আমদানি-রপ্তানির পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে অবস্থায় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ও মজুতদারকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রত্যাশিত। তাহলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাবে না।

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
জানু ২২, ২০২৫
temperature icon 15°C
clear sky
Humidity 54 %
Pressure 1011 mb
Wind 3 mph
Wind Gust Wind Gust: 3 mph
Clouds Clouds: 0%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 06:52
Sunset Sunset: 17:41

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top