পবিত্র রমজানে সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমদানিনির্ভর কয়েকটি নিত্যপণ্যের শুল্ক ও ভ্যাট কমিয়ে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। পণ্যগুলো হলো- সয়াবিন তেল, খেজুর, চিনি ও চাল। অবশ্য চালের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতেই প্রধানত এর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। আপাতত চাল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের প্রবল অনাগ্রহ রয়েছে।
সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর তেল আমদানিকারক ও রিফাইনারির মালিকরা আশ্বস্ত করেছিলেন ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিলিটার ভোজ্যতেলের দাম ১০টাকা কমানো হবে। যা কার্যকর হবে মার্চের ১ তারিখ থেকে। তবে নতুন দাম কার্যকর হয়নি কোথাও- না পাইকারি বাজারে না খুচরা বাজারে। মুদিপণ্য ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল এখনো আসেনি বাজারে এবং কবে আসবে তাও বলতে পারছেন না তারা।
সে অবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেল আমদানিকারণ ও পরিশোধনকারী ৭টি মিলে সরেজমিন অভিযান চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, আগের দামেই বোতলজাত করা হচ্ছে সয়াবিন তেল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালকের বক্তব্য সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, তেলের নতুন দাম কার্যকরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র অনীহা পরিলক্ষিত হয়েছে।
কেন তেল নিয়ে এই তেলেসমাতি হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়। এর জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা কি খুব প্রয়োজন? অনেকদিন ধরেই তেলের বাজার নিয়ে হুজ্জুতি চলছে। ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় বাড়াচ্ছেন তেলের দাম। এরপরও তেলের বাজারে স্থিতি নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়েও দেশের অনেক এলাকায় তেল পাওয়া যায়নি। ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের পরও তেল নিয়ে শুরু হয়েছে তেলেসমাতি। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের এই কারসাজিতে ভোগান্তি হয় ভোক্তাদের।