মিরর ডেস্ক : বিভিন্ন সময়ে নানা কাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত দেশের অন্যতম ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং। সম্প্রতি আবারও খয়েরি রঙের পাঞ্জাবির কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রান্ডটি।
তবে সোমবার (১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে আড়ং বলেছে, ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের উদ্যোক্তারা সারা বছর প্রস্তুতি নেন, যা তাদের ব্যবসায়ের প্রধান মৌসুম। অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই উৎসবকালে আড়ংয়ের সুনামহানি করার জন্য একটি গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যেন মানুষের মনে আড়ং সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয় এবং বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আড়ং বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের অসাধারণ নৈপুণ্য, আমাদের ক্রেতাদের দেশীয় হস্তশিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং ব্র্যাকের অব্যাহত প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে আজ বাংলাদেশের একটি অতি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, যা বাংলাদেশের সৌন্দর্য, সম্ভাবনা এবং অনন্য পরিচয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। পৃথিবীর খুব কম দেশে আড়ংয়ের মতো ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, যা নিজের দেশের হস্তশিল্পকে এত প্রসারিত করতে পেরেছে।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ বছরব্যাপী নানা উৎসব আয়োজনে, দৈনন্দিন প্রয়োজনে এবং জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত পালনে আপনারা সব সময় আড়ংকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আড়ংবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে, বাংলাদেশে জন্ম ও গড়ে ওঠা ব্র্যান্ড আড়ং এবং দেশের কারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রংধনুর মতো দেখতে কারুকাজ করা খয়েরি রঙের একটি পাঞ্জাবি ঘিরে আড়ংকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। নেটিজেনদের অভিযোগ, এমন ডিজাইনের মাধ্যমে সমকামিতার প্রচার চালাচ্ছে আড়ং। এ অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটিকে বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
নেটিজেনদের দাবি, রংধনুর রঙ সাতটি, আর সমকামিতার সিম্বলের রঙ ছয়টি। আড়ংয়ের পাঞ্জাবিটিতে ছয়টি রঙ রয়েছে, যা সমকামিতাকে প্রচার করে।