মিরর ডেস্ক : দীর্ঘ কাজের পরে ইন্দ্রিয়গুলোকে শান্ত করে এক কাপ কফি। পাশাপাশি কফি কিন্তু আপনার ত্বকেও যোগ করতে পারে উজ্জ্বলতা। ত্বকে কফি ব্যবহার বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটোলজিস্ট ডা. আংশিকা কুক্রেজার কিছু পরামর্শ জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকা।
১. কফিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ফোলা চোখের সমস্যা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানিতে গ্রাউন্ড কফি মিশিয়ে তাতে তুলোর বল ডুবিয়ে চোখের নিচে লাগান। ফোলা ভাব কমে যাবে চোখের।
২. আধা চা চামচ কফি পাউডারের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। পেস্টটি চোখের নিচের কালো দাগে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে কমে ডার্ক সার্কেল।
৩. ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে কফি। এছাড়া প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কফি দারুণ। ত্বকে ধীরে ধীরে কফি ঘষুন। ত্বকের মরা চামড়া দূর হবে ও ব্রণ কমবে। ৩ চা চামচ কফির সাথে ১ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। ৩ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। প্যাকটি ১৫ মিনিটের জন্য বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন এবং তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. কফিতে থাকা পলিফেনল অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে ত্বককে। সূর্যের সংস্পর্শে আসার কারণে সৃষ্ট সূক্ষ্ম রেখাও কমায় কফি। ১ টেবিল চামচ কফির সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৫. কফি এবং অলিভ অয়েল উভয়েই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে অসময়ে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আধা টেবিল চামচ কফি পাউডারের সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগান। শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমবে।
৬. কফির ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ হালকা হয়। পাশাপাশি মসৃণ ও উজ্জ্বল হয় ত্বক। আধা চা চামচ কফি পাউডার, আধা চা চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখের ত্বক ও ঠোঁটে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।