কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রয়েছে নাকি বেড়ে গেছে, তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ওটস
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওটস খেতে পারেন। সকালের নাশতায় ওটস রাখুন। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার অনেকক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখবে। এর ফলে সহজে ক্ষুধা পাবে না।
বিভিন্ন ধরনের বিনস ও ডালজাতীয় শস্য, দানাশস্য খেলেও আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। মসুর ডাল, মটরশুঁটি, কাবলি ছোলা— এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এগুলো খেলে পেট ভরবে, কোলেস্টেরল কমবে, ক্যালরি ও ফ্যাট কম থাকায় ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে এসব খাবার।
আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেতে পারলে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমবে।
সাইট্রাস ফ্রুটস
যেসব ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে সেগুলোকে বলে সাইট্রাস ফ্রুটস। এসব ফল খেলে ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। এ ছাড়া সাইট্রাস ফ্রুটস খাবারের তালিকায় রাখলে ভিটামিন সি- এর কারণে শরীরের ইমিউনিটিও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল নিয়ম করে খেতে থাকলে ভালো থাকবে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য।
ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির বীজ
আজকাল অনেকেই অনেক ধরনের বীজ খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো চিয়া সিডস। তবে এই তালিকায় আরো একটি বীজ রয়েছে, যা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। সেটি হলো ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির বীজ। পানিতে ভিজিয়ে এই বীজ খেতে পারেন। অথবা শুকনো কড়াইতে একটু নেড়েচেড়ে রোস্ট করে রেখে দিন। অল্প করে চিবিয়ে খেতে নিতে পারবেন। ফ্ল্যাক্সসিডেও রয়েছে ফাইবার, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র : এবিপি লাইভ