ঢাকা : ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আজকে আমরা এখানে উনার সঙ্গে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাৎ ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনেতিক আলোচনা করিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে সারা জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দোয়া চেয়েছেন নিজের সুস্থতার জন্য।
এর আগে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৯ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না।
‘স্বজনদের নিয়ে খালেদার ঈদ’
ঈদের দিন সকালে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় ফিরোজায় যান। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, ছোট ভাই বাসা থেকে খাবার তৈরি করে এনেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্য খাবার রান্না করে আনা হয়।
স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবার খান খালেদা জিয়া। দুপুরে লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়েদা রহমান, তাদের একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান, জাফিয়া রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ারি কথা বলেন খালেদা জিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাধীন মেজো বোন সেলিমা ইসলামের খোঁজখবরও নেন তিনি।