ড. মিল্টন বিশ্বাস :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা সংকটের মধ্যে মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য অন্যরকম যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের প্রতিদিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাঁরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য লড়াই করছেন। এই লড়াইয়ে প্রতিটি রাষ্ট্রের নিজস্ব কৌশল থাকলেও বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ প্রতিরোধের অনুসৃত রীতিনীতিগুলো একই এবং এখানে কোনো রাষ্ট্র কারো শত্রু নয়। তবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল একক; তা ছিল গণযুদ্ধ কারণ ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া গণহত্যা আমাদের ওপরই চালানো হয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর নির্যাতন, অত্যাচার আর হত্যালীলার মধ্যে শত্রুকে মোকাবিলা করা আজকের অদৃশ্য শত্রুর চেয়েও কঠিন ছিল। এজন্য ১৯৭১ সালের দুর্যোগকালীন সরকারের দায়িত্ব ও যুদ্ধ পরিচালনায় তাঁদের প্রজ্ঞা আজকের মহামারি প্রতিরোধের অনুঘটক। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র, বাংলাপিডিয়া, এইচ.টি ইমামের বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ এবং মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর প্রভৃতি গ্রন্থের সূত্রানুসারে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া (বর্তমান মেহেরপুর) জেলার বৈদ্যনাথতলায় এক আমবাগানে শপথ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবার পর মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন হয় ১৮ এপ্রিল। তার আগে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়টি ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও বাঙালির জীবনে দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম মাইলফলক ঘটনা। ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গণপরিষদের স্পিকার অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ। তিনিই ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রণীত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিকাঙ্ক্ষী রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান। এই ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশের প্রথম সরকার বা মুজিবনগর সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়। ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম লিখেছেন- ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় এ তিনটি ঘটনা একসূত্রে গাঁথা।’ তাঁর স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, ‘তাজউদ্দীন আহমদ ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তে অধিবেশন আহ্বান করেন। ১০ এপ্রিলের ওই অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও পাক হানাদার বাহিনীকে স্বদেশ ভূমি থেকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত এবং নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের জন্য প্রথম সরকার গঠন করা হয়।’ সেসময় যিনি এই ঘোষণাপত্রটি রচনা করেছিলেন তাঁর স্মৃতিতে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র; যা ৪ জুলাই ১৭৭৬ সালে পেনসিলভানিয়া প্রাদেশিক আইনসভায় অনুষ্ঠিত ২য় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে গৃহীত হয়। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধরত তেরটি মার্কিন উপনিবেশ নিজেদের ব্রিটিশ শাসনের বাইরে স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে ঘোষণা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র নামে নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় জুলাইয়ের ৪ তারিখ, যে তারিখে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়েছিল সেই তারিখেই। ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুসারে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। কারণ ঘোষণাপত্রে লেখা হয়েছে- ‘আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।’
১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বাঙালি জাতির মুক্তিকাঙ্ক্ষী জনগণের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র নিহিত আছে ঘোষণাপত্রে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছিল সে ম্যান্ডেট মোতাবেক নির্বাচিত প্রতিনিধিরা গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। লক্ষণীয়, ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় যে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার বাণী বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয় তার সঙ্গেও স্বাধীনতাকামী বাঙালির চেতনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে মিল আছে- ১৮১১ সালের ভেনিজুয়েলার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৮৪৭ সালের লাইবেরিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৯৪৫ সালের ভিয়েতনামের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের। তবে ১৯৭১ এর ১০ এপ্রিল জারিকৃত মাত্র ৫১০ শব্দের এ ঘোষণাপত্র জনগণের মাঝে আশা জাগাতে সক্ষম হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ার আইনি দলিল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ঘোষণাপত্রে ব্যবহৃত মাত্র তিনটি শব্দ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অসাধারণভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গণবিমুখ ও নিপীড়নকারী পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোর মডেল ছুঁড়ে ফেলে যে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নির্ণয় করা হয়েছে- বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা। এই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা। এই চেতনার সফল ও সার্থক বাস্তবায়ন হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সংবিধান মূলত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ও বাস্তবায়নের পথ নির্দেশক দলিল। ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একটি আদেশ জারী করেন যা ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হয়। আদেশটি ছিল একটি স্বাধীন দেশের শাসন কার্যক্রমের অন্যতম দিক। সেটি হলো- ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একইভাবে চালু থাকবে, তবে প্রয়োজনীয় সংশোধনী সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য করা যাবে। এই রাষ্ট্রগঠন বাংলাদেশের জনসাধারণের ইচ্ছায় হয়েছে। এক্ষণে, সকল সরকারি, সামরিক, বেসামরিক, বিচার বিভাগীয় এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা বাংলাদেশের প্রতি অনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছেন, তারা এতদিন পর্যন্ত নিয়োগবিধির আওতায় যে শর্তে কাজে বহাল ছিলেন, সেই একই শর্তে তারা চাকুরিতে বহাল থাকবেন। বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত সকল জেলা জজ এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং সকল কুটনৈতিক প্রতিনিধি যারা অন্যত্র অবস্থান করছেন, তারা সকল সরকারি কর্মচারীকে স্ব স্ব এলাকায় আনুগত্যের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক কারণসমূহ তথা পাকিস্তানি শাসকদের গণহত্যা ও শত্রুতামূলক আচরণ, এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতা ঘোষণার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা, নতুন রাষ্ট্রের সরকারের রূপরেখা, নতুন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্দিষ্টকরণ উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে রাজা তৃতীয় জর্জের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অবতারণা করা হয়েছিল। স্বাধীনতাকামী নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণাজারির ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তবতা বরং আরো ভয়ঙ্কর ছিল। এজন্য আমাদের স্বাধীনতা দাবির স্বপক্ষে জোরালো যুক্তি বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মতো মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় যথার্থ পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান। মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে ছিল। সেদিনই যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটিতে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। কমান্ডোরা যখন যে এলাকায় অভিযান করতেন সে সেক্টরের কমান্ডারের অধীনে থাকতেন। এ ছাড়াও জেড ফোর্স, কে ফোর্স ও এস ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন হয়েছিল। বহির্বিশ্বের সরকার ও জনগণের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করার নিমিত্তে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন এবং বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চলতে থাকে। ২০২০ সালে যেমন করোনার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯২ হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন ঠিক ১৯৭১ সালেও একইভাবে সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অস্থায়ী সরকার কর্তৃক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তখনকার সরকার তার আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করে প্রথমে ছয় মাসের জন্য একটি বাজেট তৈরি ও বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সংরক্ষণের জন্য ট্রেজারি স্থাপন করে। প্রবাসী বাঙালি ও বিভিন্ন বিদেশী নাগরিক এবং সংস্থার তরফ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ নামের একটি তহবিলে জমা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন-ভাতা ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হতো এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে সে অর্থ পৌঁছাত। সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। মনে রাখতে হবে এই মুজিবনগর সরকারের অধীনেই পরিচালিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।
১৭ এপ্রিল দেশ-বিদেশের প্রায় এক’শ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লড়াই একটা আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছিল। এজন্য বাঙালির জীবনে ১৭ এপ্রিল আজও স্মরণীয় একটি দিন। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী স্মৃতিচারণ করেছেন এভাবে- ‘ওই আমবাগানটা খুব ঘন আমবাগান। অনেক পুরনো আমগাছ- গাছে গাছ লেগে ছাতার মতো হয়ে থাকে। দিনের আলো ঝিলমিল করছিল, আনন্দঘন উৎসবের মতো লাগছিল। মনে হচ্ছিল প্রকৃতিও যেন এটাকে সমর্থন দিচ্ছে, আর রূপকথার মতো অনুষ্ঠানটা শেষ হলো।’ অথচ সেই সকালে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের ভয় ছিল, ভয় ছিল আকাশপথে বোমাবর্ষণেরও। আতঙ্ক ও ভয়কে সঙ্গী করে অনুষ্ঠিত ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আমাদের বর্তমান সময়েও অপরিসীম অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটে ও দুর্যোগে আত্মপ্রত্যয়ী এবং নেতৃত্বে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনুসারী।
লেখক : বঙ্গবন্ধু গবেষক, বিশিষ্ট লেখক, কবি ও কলামিস্ট।
(প্রকাশিত লেখাটির মতামত লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে কোন আইনগত ও অন্য কোন ধরনের দায়-ভার মিরর টাইমস্ বিডি বহন করবে না)।