১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

রাশিয়ার ভয়ংকর প্রযুক্তি গিলে নিচ্ছে বিমানের সিগন্যাল

মিরর ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে নানা রকম গালগল্প প্রচলিত আছে। এবার রাশিয়ার কাছেই এমন এক স্থানের খোঁজ পাওয়া গেছে। ওই অঞ্চল দিয়ে কোনো উড়োজাহাজ উড়ে যাওয়ার সময় না কি ভৌতিক ঘটনার মুখে পড়েন পাইলটরা। হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় উড়োজাহাজের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল। এ সময় প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয় না। তবে কিছুক্ষণ পর এই সিগন্যাল আবারও ফিরে আসে।

পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া সীমান্তে কালিনিনগ্রাদে রয়েছে রুশ নৌবাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। বাল্টিক সাগরের ওই অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই উড়োজাহাজের ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএসসহ অন্য বেতার তরঙ্গ কাজ করে না। নির্দিষ্ট ওই এলাকার আকাশে কেন এমনটা ঘটছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তবে অভিযোগে তীর উঠেছে রাশিয়ার দিকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘টোবোল’ নামে একটি অস্ত্র বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যাহত করছে। আর রাশিয়াই না কি ওই অস্ত্র গোপনে ব্যবহার করছে বাল্টিক সাগরের ওপর। ওই সাগরে রুশ সীমানার মধ্যে কোনো উড়োজাহাজ চলে এলেই তার জিপিএস বা অন্য বৈদ্যুতিক সিগন্যাল কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। ‘টোবোল’ উড়োজাহাজের স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমে আঘাত হানে বলে বিশ্বাস অনেকের।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ একটি ছবি প্রকাশ করে। ওই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। ছবিটি একটি স্যাটেলাইট ডিশের। ওই স্যাটেলাইট ডিশটি কালিনিনগ্রাদে অবস্থিত রুশ ঘাঁটিতে আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই স্যাটেলাইট ডিশই হলো ‘টোবোল’। রাশিয়া এই অস্ত্র ব্যবহার করেই না কি উড়োজাহাজের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে হামলা চালাচ্ছে।

রাশিয়াজুড়ে এমন ১০টি টোবোলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দ্য সানের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ভ্লামিদির পুতিন সরকার এই অস্ত্র দিয়ে উড়োজাহাজের বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে সাময়িকভাবে অকেজো করছে। বলা হচ্ছে, নেটোর ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে নিজের ঘাঁটিগুলো রক্ষা করতেই ‘টোবোল’ ব্যবহার করছে রাশিয়া। শত্রুপক্ষ যদি আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করে, তবে ‘টোবোল’ দিয়ে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।

মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ‘টোবোল’ থেকে যে সিগন্যাল ছড়ায় তা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে বিভ্রান্ত করে। ফলে সেই সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহারকারীরা ভুল তথ্য পেতে শুরু করেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, ইউক্রেনে স্টারলিঙ্ক ট্রান্সমিশনে ব্যাঘাত ঘটাতেই টোবোলকে কাজে লাগাচ্ছেন পুতিন। যোগাযোগের যাবতীয় কাজের জন্য স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেন।

আধুনিক সব উড়োজাহাজ জিপিএস এবং গ্যালিলিওর মতো স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। উড়োজাহাজের যোগাযোগ ব্যবস্থা এসব স্যাটেলাইট সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল। আকাশে পাইলটদের সঠিক পথ দেখাতে কাজ করে এই ব্যবস্থা। তবে যে সিগন্যালের সাহায্যে স্যাটেলাইট ও উড়োজাহাজ যোগাযোগ স্থাপন করে, ‘টোবোল’ সেই সিগন্যাল ‘জ্যাম’ করে দেয়।

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
ডিসে ১২, ২০২৪
temperature icon 20°C
clear sky
Humidity 37 %
Pressure 1017 mb
Wind 4 mph
Wind Gust Wind Gust: 3 mph
Clouds Clouds: 5%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 06:42
Sunset Sunset: 17:16

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top