১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

জিলহজের প্রথম দশদিন রোজা রাখার ফজিলত

মিরর ডেস্ক : হিজরি ক্যালেন্ডারের সর্বশেষ মাস জিলহজ। হজের তিনটি মাসের মধ্যে জিলহজ প্রধানতম। এ মাসের ৮-১৩ তারিখ এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। এ মাসের প্রথম দশক বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। কোরআনে আল্লাহ জিলহজের দশ রাতের শপথ করেছেন। আল্লাহ বলেন,

وَ الۡفَجۡرِوَ لَیَالٍ عَشۡرٍ وَّ الشَّفۡعِ وَ الۡوَتۡرِ
শপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাতের, শপথ জোড় ও বেজোড়ের। (সুরা ফাজর: ১-৩)

এ দশ দিন যে কোনো নফল আমলেরই সওয়াব বেড়ে যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, অন্যান্য যে কোনো সময়ের তুলনায় জিলহজের প্রথম দশ দিনের নেক কাজ আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। (সহিহ বুখারি: ৯৬৯)

উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) প্রতি বছরই জিলহজের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। তিনি বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

এ নয় দিনের মধ্যে শেষ দিন অর্থাৎ জিলহজের নয় তারিখের রোজার ফজিলত সবচেয়ে বেশি। যে দিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে । এ দিন রোজার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আরাফার দিন কেউ রোজা রাখলে আমি আশাবাদী যে আল্লাহ তার পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (সহিহ: ২৬১৭)

এ থেকে অনুমান করা যায় জিলহজের ফজিলতপূর্ণ দিনগুলোর রোজার সওয়াব বা প্রতিদান কত বেশি হবে। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন!

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
মে ১৪, ২০২৫
temperature icon 41°C
scattered clouds
Humidity 23 %
Pressure 1002 mb
Wind 5 mph
Wind Gust Wind Gust: 11 mph
Clouds Clouds: 26%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 05:20
Sunset Sunset: 18:43

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top