মিরর স্পোর্টস : মন্টেরির কোচিং স্টাফদের সঙ্গে লিওনেল মেসি ও তার সতীর্থদের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগটা ছিল বেশ গুরুতর। ওই ঘটনার তদন্ত করতে কনকাকাফকে অনুরোধ করেছিল লিগা এমএক্স ক্লাব।
তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন মেসি ও তার সতীর্থরা। এ কারণে আর্থিক জরিমানা হয়েছে মিয়ামির। ডিসিপ্লিনারি কমিটি মিয়ামিকে আর্থিক শাস্তি দিলেও স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে জরিমানার অঙ্কটা প্রকাশ করেনি। সঙ্গে কমিটি মিয়ামিকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কনকাকাফ ক্লাব টুর্নামেন্টে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আরও গুরুতর শাস্তি পেতে হবে।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে সিএফ মন্টেরির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে খেলেননি মেসি। না খেললেও গ্যালারিতে বসে দলের হারের তেতো স্বাদ হজম করেন মেসি। ম্যাচটিতে ২-১ গোলে ধরাশায়ী হয় মায়ামি। ইএসপিএন জানায়, ম্যাচ শেষে মন্টেরির ড্রেসিং রুমের দিকে ক্ষুব্ধ হয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন মেসি ও তার সতীর্থরা। এক পর্যায়ে চিৎকার-চেঁচামেচিও নাকি করেছেন তারা।
ম্যাচের আগে মন্টেরি কোচের মন্তব্যের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। মন্টেরির আর্জেন্টাইন কোচ ফার্নান্দো ওর্তিস ম্যাচের আগে তার দলকে উদ্বুদ্ধ করতে বলেছিলেন, মিয়ামি অন্য আট দশটি ক্লাবের মতোই। মেসিও অন্যদের মতোই একজন ফুটবলার। সঙ্গে এও বলেছিলেন, মেসির মতো মহাতারকাদের বেলায় রেফারির সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে প্রভাবিত হয়।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই মেসি ও তার কয়েকজন সতীর্থ মন্টেরি কোচের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। ইন্টার মায়ামিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মেক্সিকান ক্লাব মন্টেরি কোচ ফার্নান্দো ওর্তিস। প্রথম লেগের খেলা শেষে মন্টেরির কোচিং স্টাফদের সঙ্গে তাই নিয়েই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় মিয়ামি খেলোয়াড়দের।