মিরর স্পোর্টস : আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। জয় পরাজয় ছাপিয়ে এই ম্যাচে আলোচনার বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রিয়াদের লেগ বাই থেকে ৪ রান এলেও সেটা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ না হওয়া।
মূল ঘটনা ঘটে ওটনেইল বার্টম্যানের করা ১৭তম ওভারে। তার দ্বিতীয় বলের আগে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৩ বলে ২৬ রান। লেগ স্ট্যাম্পের লাইনে পিচ করা বলটি ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে তার প্যাডে লেগে বল চলে যায় সীমানার বাইরে।
বাংলাদেশি সমর্থকদের অনেকেই বাউন্ডারি দেখে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। কিন্তু দুই সেকেন্ড না যেতেই চোখ কপালে। অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি বোলারের মৃদু আবেদনেই যে আঙুল তুলেছেন! বিস্ময়ে ভরা দৃষ্টিতে রিভিউ নিলেন রিয়াদ। পরবর্তীতে তিনি সহ বাকি সবাই যা ভেবেছিল, হলো সেটাই। বলটি স্ট্যাম্প মিস করতো। ফলে রিয়াদ নট আউট।
বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি ছিল এতটুকুই। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেওয়ায় বলটি বাউন্ডারি পার হলেও প্রাপ্য ৪ রান পায়নি। আর দিনশেষে ম্যাচটি মাত্র ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন, কোন নিয়মের মারপ্যাঁচে ৪ রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।
আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ৩.৭.১ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ৪ রান পায়নি। এই ধারায় বলা আছে, কোনো খেলোয়াড়কে যদি আউট দেওয়া হয় এবং তিনি রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে নট আউট হয়, সেক্ষেত্রে আম্পায়ার আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তের সময়ই বলটি ডেড হিসেবে গণ্য হবে।
নিয়মে আরো বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে ডিআরএস থেকে ব্যাটিং দল সিদ্ধান্ত বদলের সুবিধা পেলেও সেই ডেলিভারি থেকে কোনো রান পাবে না। বলটি ডট বল হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধুমাত্র নো বলের ক্ষেত্রে রান যোগ হতে পারে।
এই নিয়মের কারণেই ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ। দলের ম্যাচ হারার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হিসেবে আম্পায়ারের সেই ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন সমরথকরা। কারণ সেটি চার হলে ২৩ বলে টাইগারদের প্রয়োজন থাকতো ২৩ রান। ম্যাচের চিত্রপট থাকতো অন্যরকম। হয়তো আরো আগেই জয় নিশ্চিত হতো লাল-সবুজদের। কিন্তু দিনশেষে ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।