মিরর ডেস্ক : রাজধানী ও এর আশেপাশে ৭২ ঘণ্টা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে হাইতি সরকার। সান্ধ্যকালীন কারফিউও জারি করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম-বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
হাইতি সরকার জানিয়েছে, সশস্ত্র গ্যাংগুলোর সহিংসতা বৃদ্ধি ও দেশটির বৃহৎ দুই কারাগার থেকে হাজারো বন্দির পালিয়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সশস্ত্র দলটি হাইতির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে উৎখাত করতে চায়। ২০২১ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যার শিকার হওয়ার পর থেকে হেনরি ক্ষমতায় আছেন।
ওই সময় সাহায্যের জন্য হাইতির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে গ্যাং সদস্যরা আবারও হামলা চালায়।
ন্যাশনাল পেনিটেনশিয়ারি নামের কারাগারটিতে তিন হাজার ৮০০ জন বন্দী ছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন এখনও কারাগারের ভেতরে অবস্থান করছেন।
এদিকে, ক্রোইক্স ডেস বুকেটস নামের আরও একটি কারাগারেও হামলা হয়েছে। সেখানে এক হাজার ৪৫০ জন বন্দী ছিলেন। তবে সেখান থেকে কতজন পালিয়েছেন তা জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী হেনরিকে উৎখাতের প্রচেষ্টায় সম্প্রতি হাইতিতে সহিংসতা ব্যাপকহারে বেড়েছে। জিমি চেরিজিয়ের নেতৃত্বাধীন গ্যাং আরও কয়েকটি গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হেনরিকে হটাতে চাইছে।
প্রেসিডেন্ট মইসি হত্যার পর থেকে হাইতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট পদটি এখনও ফাঁকা। ২০১৬ সাল থেকে হাইতিতে কোনও নির্বাচন হয়নি। রাজনৈতিক চুক্তির অধীনে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতেও হাইতিতে গ্যাং সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন অন্তত ৮ হাজার ৪০০ মানুষ, যা ২০২২ সালের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।