মিরর ডেস্ক : মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক। দেশটির সামরিক সক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে ইরানের চেয়ে কম। তবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম দেশও এটি। তাদের সেনাবাহিনী ন্যাটো জোটের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এরদোয়ানের দেশের রয়েছে শক্তিশালী ড্রোন বাহিনী। বিপুল অস্ত্রের ভাণ্ডার থাকলেও পারমাণবিক কোনো অস্ত্র নেই তাদের।
তবে বসে নেই দেশটি। এবার সম্পূর্ণ নিজেদের প্রযুক্তি ও উপাদানে তৈরি যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘তার্কসাত-৬এ’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে আঙ্কারা। উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি ফ্যালকন ৯ মডেলের একটি রকেট। স্পেসএক্স মূলত মহাকাশযান এবং মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত করে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার্কসাত ৬এ’ এর উৎক্ষেপণকে দেশটির জাতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণ প্রকল্পের ইতিহাসের ‘নতুন অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই স্যাটেলাইটটির মোট উপাদানের ৮১ শতাংশ উপদান এবং সফট্ওয়্যার তুরস্কের নিজস্ব। ‘তার্কসাত ৬এ’ হলো তুর্কি জাতির সক্ষমতা ও যোগ্যতার একটি উজ্জ্বল নজির।
এ বিষয়ে তুরস্কের পরিবহন ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী আবদুলকাদির উরালোগ্লু বলেন, তারা নিজস্ব স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণে হাত দিয়েছেন। এই কর্মসূচির প্রথম ফসল ‘তার্কসাত ৬এ’। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তুরস্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বিশেষ করে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে তুরস্কের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই স্যাটেলাইট ব্যাপকভাবে কাজে দেবে।
এদিকে গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি লেবাননেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরাইল। হিজবুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে লেবাননকে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে তারা। গাজা যুদ্ধ লেবানন পর্যন্ত টেনে নেওয়ার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করে এরদোগান বলেন, ‘তারা লেবাননকেও যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। এই অঞ্চলে অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকে ইসরাইলকে সরে আসতে হবে।
মুসলিম বিশ্বের আরেক প্রভাবশালি দেশ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরও জোর দেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ইরান তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, তাদের সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি, নতুন সময়ে তুর্কি-ইরান সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।