মিরর ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেছেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে তিনি সমর্থন দিচ্ছেন। অবকাঠামো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর শি এ কথা বলেছেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মূলত চীনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
এরপরই তাদের স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপর বৈঠকে বসেন দুই প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বেইজিং এবং মালের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন জিনপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, চীন ও মালদ্বীপ একে অপরের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী। গত পাঁচ দশক ধরে দু’দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান ও সমর্থন করে আসছে। এর পাশাপাশি গেল ১০ বছরে দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা থেকে অনেক সুফলও অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় মালদ্বীপে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালদ্বীপের পর্যটন খাতে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে মালের যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তার মর্যাদা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের যতগুলো প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। দু’দেশের স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
মুইজ্জুর সফরকালে দু’দেশ জলবায়ু, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বেশি কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সমুদ্রসম্পদ ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটন নির্ভর। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ২৮ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এছাড়া মালদ্বীপের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশও এ খাত থেকেই আসে।