মিরর ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্যের পর উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এর মাঝেই চীন সফরে গিয়ে মালদ্বীপে আরও বেশি বিনিয়োগ ও চীনা পর্যটক পাঠাতে বেইজিংয়ের প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। সফরের দ্বিতীয় দিনে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে মালদ্বীপ বিজনেস ফোরামের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ সময় চীনকে দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠতম’ মিত্র হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
এ সময় মালদ্বীপে চীনা পর্যটকদের প্রবাহ জোরদার করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা মহামারী পূর্ববর্তী সময়ে চীন আমাদের (মালদ্বীপের) এক নাম্বার বাজার ছিল। আমরা চীনে এই অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মালদ্বীপের তিনজন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্য ঘিরে সৃষ্ট কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝে চীনা বিনিয়োগ ও পর্যটকদের দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে বেশি করে পাঠানোর আহ্বান জানালেন মুইজ্জু। কয়েক দিন আগে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে প্রাচীন সমুদ্র সৈকতে নিজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
তার সেই ভিডিও নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছে মালদ্বীপের ওই তিন মন্ত্রী। এ ছাড়া মালদ্বীপ এসোসিয়েশন অব ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি (এমএটিআই) মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারপরও ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়কট মালদ্বীপ আন্দোলন শুরু করেছেন ভারতীয়রা।
এর আগে মালদ্বীপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২৩ সালে মালদ্বীপের পর্যটনের জন্য বৃহত্তম বাজার ছিল ভারত। অর্থাৎ ওই বছর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভারতীয় পর্যটক মালদ্বীপে গিয়েছিলেন। গত বছর প্রথম স্থানে থাকা ভারতের ২ লাখ ৯ হাজার ১৯৮ জন পর্যটক দেশটিতে যান। এরপরই রাশিয়ার ২ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ এবং চীনের ১ লাখ ৮৭ হাজার ১১৮ জন পর্যটক মালদ্বীপে গিয়েছিলেন।