জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে যাত্রীবাহী বিমানের সাথে সংঘর্ষে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক বিমানের অন্তত পাঁচ আরোহী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানের সাথে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সংঘর্ষে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়েতে থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে জাপান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে যায়।
দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, তাদের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ বিমানে মোট ছয় কর্মকর্তা ছিলেন। তারা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নোটো উপদ্বীপে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিগাতা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এনএইচকে বলেছে, আগুন ধরে যাওয়া জাপান এয়ারলাইন্সের জেএএল-৫১৬ ফ্লাইটটি হোক্কাইডো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। পরে সেটি হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করা জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। বিমানবন্দরের অগ্নিনিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও এখনও বিমানটি জ্বলছে।
জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হোক্কাইডোর শিন চিটোসে বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে নিয়ে যাত্রা করেছিল জেএএল-৫১৬। হানেদা বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল ৫টা ৪০ মিনিট।
এদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের শিকার জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: এনএইচকে, দ্য গার্ডিয়ান