মিরর ডেস্ক : ‘জাস্টিস পাবেন, ভরসা রাখুন’। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আচমকা কলকাতার সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে এই কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিক সহানুভূতির সুরে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ আমি আসিনি। এসেছি আপনাদের দিদি হিসেবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার পোস্ট বড় কথা নয়। মানুষের পোস্ট বড় কথা। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে যেন ফাঁসির অর্ডার দেওয়া হয়।’
চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ ডা. অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘দাবির সঙ্গে আপস নয়।’ তার কথায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান ডাক্তাররা। ডাক্তারদের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা ইস্যু ধরে ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আলোচনা করবেন।
অনিকেত মাহাতো আরও বলেন, এখনই আন্দোলন থেকে পিছপা হতে তারা নারাজ। তার সাফ দাবি, ‘আন্দোলনের যে স্পিরিট নিয়ে চলছিল সে ভাবেই চলবে। আমরা আমাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। দ্রুত কাজেও ফিরতে চাই। আমরা কোনও অন্যায় দাবি করছি না। এই দাবি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। এই ৫ দফা নিয়ে আমরা কোনও রকম সমঝোতায় যেতে এখনও রাজি নই।’
পাশে দাঁড়িয়ে আরেক আন্দোলনকারী বললেন, ‘উনি প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা নিজেরা আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী জানাব। আমরা সবসময় চাই আলোচনা করতে। কারণ আমরা চাই এই সমস্যার সুস্থ সমাধান হোক।’
এসময় অপর একজন বলে উঠলেন, ‘তার এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভূমিকা হিসেবে দেখছি। স্বাগত জানাচ্ছি। তবে ন্যায়বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, আলোচনার সদিচ্ছা জানাচ্ছেন। আমরা সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা অচলাবস্থা কাটাতে চাই। আমরা চাই এক্ষুনি ওনি আলোচনার টেবিলে বসুন। মিডিয়ার সামনেই সব হোক। আমরা চাই আমাদের দাবি ওনি মেনে নিন।’
আরও এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা দিদি হিসেবে মমতাকে চাইনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি আসুন। কেননা দিদির থেকে তো মুখ্যমন্ত্রীর পদ বড়। আর আলোচনা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে আমরা অনড়।’