সমুদ্রপথে গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্যে গাজার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি বন্দর নির্মাণ করবে। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘একটি অস্থায়ী জেটি প্রতিদিন গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ইসরায়েলকে অবশ্যই এই অঞ্চলে আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে ও মানবিক কর্মীদের ওপর যাতে ক্রসফায়ার না হয় তা নিশ্চিত করে তাদেরকে নিজের ভূমিকা পালন করতে হবে। মানবিক সহায়তার বিষয়টি কখনোই গৌণ হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগে গাজার ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েম করা হবে না। তারা কেবল অস্থায়ী বন্দরটিই নির্মাণ করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানায়, এই অস্থায়ী বন্দর ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। প্রতিদিন শতশত ত্রাণবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছে, বন্দরটি স্থাপন করতে ‘কয়েক সপ্তাহ’ সময় লাগবে। বন্দরটি খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী আশ্রয় বহনকারী বড় জাহাজ গ্রহণ করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সহায়তা সাইপ্রাস হয়ে গাজায় প্রবেশ করবে। সেখানে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ/পরিদর্শন করা হবে।
গাজার উত্তরাঞ্চলের চরম অপুষ্টির শিকার শিশুর সংখ্যা ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অনাহারে ও অপুষ্টিতে ১৬ জনের বেশি শিশু মারা গিয়েছে। উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনি খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।সূত্র: বিবিসি