ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা ক্যানসারের নতুন একটি ওষুধ তৈরি করেছে। “আর+সিইউ” নামের এই ওষুধটি দেহের ভেতরের ক্যানসারের প্রভাবক উপাদানগুলোকে নির্মূল করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের (টিএমসি) একটি গবেষক দল।
এক সাক্ষাৎকারে এনডিটিভিকে ডা. বাদভে বলেন, ‘ক্যানসার এখন খুব দূরারোগ্য কোনো ব্যাধি নয়। যেসব রোগী ক্যানসারের প্রাথমিক কিংবা মাঝামাঝি অবস্থায় থাকেন, বর্তমানে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমো থেরাপি অথবা সার্জারির মাধ্যমে তাদের ক্যানসার আক্রান্ত কোষ নির্মূল করে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।’
‘যে ওষুধটি আমরা তৈরি করেছি, সেটির মূল উপাদান রেভেরাট্রল (এক প্রকার জৈব রাসায়নিক উপাদান) এবং দস্তা। রেডিশেন, কেমো বা সার্জারির পর এই ওষুধটি সেবন করা হলে মানবদেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ একপ্রকার প্রোটিন তৈরি হয় এবং এই প্রোটিন দেহের অভ্যন্তরে রয়ে যাওয়া ক্রোমাটিন ধ্বংস করে। এছাড়া কেমো বা রেডিয়েশন থেরাপির ফলে দেহে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেসব নির্মূলেও কার্যকর আর+সিইউ।’
“আর+সিইউ” একটি মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট বা বড়ি। এনডিটিভিকে ডা. বাদভে জানান, ওষুধটির অনুমোদন ও জরুরি অবস্থায় ব্যবহার বিষয়ক ছাড়পত্রের জন্য ভারতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসআই) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আগামী জুনের আগেই ছাড়পত্র মিলবে বলে আশা করছে টিএমসি।
‘আমাদের টানা ১০ বছরের নিরলস গবেষণার ফলাফল এই আর+সিইউ। এফএসএসআই অনুমোদন হলে আগামী জুন-জুলাই মাস থেকেই বাজারে সহজলভ্য হবে ট্যাবলেটটি। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি আর+সিইউ ট্যাবলেটের দাম দাম ধার্য করা হয়েছে ১০০ রুপি,’ সাক্ষাৎকারে এনডিটিভিকে বলেন ডা. রাজেন্দ্র ভাদভে।
সূত্র : এনডিটিভি