মিরর ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশীষ রায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাইউম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) করেন। তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষে মামলার নিযুক্ত কৌঁসুলি ছিলেন মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করে জঘন্য মন্তব্য করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনও অবদান নেই। শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগণকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তার পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে। রাজাকাররা তার মন্ত্রিসভায়ও রয়েছে বলে তারেক রহমান তার ওই বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ ও জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতিসহ বহির্বিশ্বে মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছর আদালতে অনুপস্থিত। মামলায় নিযুক্ত করা কৌঁসুলির কোনও ধরনের তদবির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, মামলা করে তদারকি করবে না, আমি এ ধরনের মামলার পক্ষে না।