প্রতি টন পিঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে আগে নির্ধারিত ৫৫০ ডলার মূল্যের শর্তটি তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি গত মে মাসে পিঁয়াজের চালানের ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও কমতে পারে পিঁয়াজের দাম।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গতকাল শুক্রবার পিঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’–সংক্রান্ত শর্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে, ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো দামে পিঁয়াজ রফতানি করতে পারবেন।
ডিজিএফটি একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, ‘পিঁয়াজের রফতানির ওপর ন্যূনতম রফতানি মূল্য মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস শর্তটি প্রত্যাহার করা হলো এবং পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।’
এদিকে, ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে যে হ্রাসকৃত শুল্ক আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
ভারত অভ্যন্তরীণ বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একসময় পিঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে ভারত সরকার পিঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, কিন্তু প্রতি টন পিঁয়াজের জন্য ৫৫০ ডলার ন্যূনতম রফতানিমূল্য আরোপ করে। এর ফলে আমদানি করা পিঁয়াজের দাম বেড়ে যেত। এখন উন্মুক্ত দামে আমদানির সুযোগ পাওয়ায় বাজারে পিঁয়াজের দাম অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া