অর্থনীতি রিপোর্ট : দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত আরও কমেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর ও ডিসেম্বরের আমদানি বিল ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে আবারও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাবায়নে তা হ্রাস পেয়ে ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২ মাসের আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন (১২৭ কোটি) ডলার শোধ করেছে বাংলাদেশ। তাতে এখন রিজার্ভ স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে।
২০২৩ সাল শেষে রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬)। বছর শেষে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এখন যা কমে হয়েছে ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে দেশে ডলার সংকট তৈরি হয়। সেটা মেটাতে রিজার্ভ থেকে তা বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া নতুন করে ঋণ কম পায় বাংলাদেশ। ফলে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমে যায়।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর তা কমে ১৯ দশমিক ১৭ বিলিয়নে নামে। তবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি ডলার পাওয়ায় রিজার্ভ বাড়ে। মূলত আইএমএফের শর্ত পূরণে সেটা বাড়ানোর চেষ্টা ছিল।