৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
২৪ ভাদ্র, ১৪৩১
Mirror Times BD

আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলো বিএসইসি

অর্থনীতি রিপোর্ট : আরও ২৩ প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দামের সীমা) তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর ফলে এখন আর মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকলো।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এদিন দাম বাড়ার তালিকায় ২০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান নাম লেখানোর পাশাপাশ বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে প্রায় ছয় মাস পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদন হয়েছে।

যে ২৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলো
শেয়ারবাজারের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এ ৩৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বারাকা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, ইনভয় টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স এগ্রো, কেডিএস লিমিটেড, কাট্টালী টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, পদ্মা অয়েল, সায়হাম কটন, শাসা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাহিনপুকুর সিরামিকস, সামিট পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বেক্সিমকো, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ওরিয়ন ফার্মা, রেনেটা, রবি ও শাহজিবাজার পাওয়ার।

শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে।

এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিচ্ছে কমিশন।

সোমবার ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টির শেয়ার দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে। এছাড়া ২ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে ১২৯টির। এর মধ্যে ৪১টির দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের ওপরে।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানোর ফলে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত বছরের ১৮ জুলাইয়ের পর ডিএসইতে আবারও হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
সেপ্টে ৮, ২০২৪
temperature icon 34°C
broken clouds
Humidity 59 %
Pressure 1000 mb
Wind 5 mph
Wind Gust Wind Gust: 8 mph
Clouds Clouds: 79%
Visibility Visibility: 0 km
Sunrise Sunrise: 05:48
Sunset Sunset: 18:17

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top