ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, নিজেরা এবং নিজেদের পছন্দের দল মিলে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের দিন সকাল দশটার মধ্যেই ইসি সচিব বলেন, কারা এমপি হবেন তা ঠিক করা আছে। তারপরও এই নির্বাচনে তারা নিজেরা মারামারি ও সহিংসতা ঘটিয়েছে। একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে। এভাবে মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে ও আশেপাশে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পথচারী, রিকশাচালক ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে নির্বাচন বর্জন করায় দেশবাসী ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। এই দাবিতে আজ এবং আগামীকাল দুইদিন গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ প্রথম দিনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য এইচএম আবু সাঈদ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা কাজী মনজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিক প্রমুখ।