মিরর স্পোর্টস : দশম বিপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল। যেখানে রংপুরকে গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের দল।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে রংপুর। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে বরিশাল।
রংপুরের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বরিশাল। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের শুরু থেকেই রাইডার্স বোলারদের ওপর চড়াও হন তারা দুজন। এভাবে ৪ ওভার কাটিয়ে দেন তারা।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে এ জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার ঘূর্ণিতে কাটা পড়ে ১২ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন ইব্রাহিম।
পরে উইকেটে আসেন মেহেদী মিরাজ। তাকে নিয়ে দলের চাকা সচল রাখেন তামিম। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারান বরিশাল দলপতি। নবীর বলে আউট হওয়ার আগে ৩৪ করেন বাঁ-হাতি এ ব্যাটার।
এরপর বাইশ গজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য (১)। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও কক্ষচ্যুত হয়নি বরিশাল। অভিজ্ঞ মুশফিক ও শোয়েব মালিক জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগোতে থাকে তারা।
২৬ রান করে মুশফিক বিদায় নিলে শেষমুহূর্তের কাজটি সম্পন্ন করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের শেষ ওভারের প্রথম বলটি বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিন রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মুরাদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর রাইডার্স। প্রথম দুই ওভারেই তিন টপ অর্ডারকে হারায় দলটি।
এর মধ্যে ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই কিংকে বোল্ড করেন ইমরান। এতে ডাক খেয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কিং। এরপরও ওভারটিতে ১৪ রান তোলে রাইডার্সরা। পরের ওভারেই অর্থাৎ দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসান (২) ও রনি তালুকদারকে (৫) সাজঘরে ফেরান খালেদ আহমেদ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে বিকল্প ছিলেন শামীম পাটোয়ারী ও শেখ মাহেদী। তাদের দুজনের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান সংগ্রহ করে সোহানের দল। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ।