রংপুর প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপরবর্তী সার্বিক বিষয়ে দলের অবস্থান ও নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রংপুর-৩ (সদর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম কাদের। নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার কোনও কারণ দেখছি না। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন ভালো হয়নি। আমার বিশ্বাস, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।’
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়া মহল্লায় তার পৈতৃক বাসভবন স্কাইভিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ছাড়া আরও অনেক আসন ছিনতাই করেছে আওয়ামী লীগ। আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাচ্ছিলাম। একপর্যায়ে আমরা অসহায় হয়ে গেছি। যেখানে যেখানে প্রয়োজন যোগাযোগ করলেও তাদের আশ্বাসে কোনও কাজ হয়নি। অনেক আসনে আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের ডাইমেনশন দেখা গেলো। এর জন্যে ভবিষ্যতে সরকারকে মাশুল দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল দেখেই প্রমাণিত হয়েছে তারা আমাদের আসন ছেড়ে দেয়নি। বরং আমাদের জয় হওয়া আসন কেড়ে নিয়েছে। এটা সরকার ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত আসন ভাগাভাগির কথা প্রচার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। এটা করে দলের প্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের সারা দিন ধরে আমাদের কাছে খবর এসেছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র তারা দখলে নিয়ে আমাদের দলের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ তাদের এজেন্টদের দিয়ে সিল মারিয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এমনকি রিটার্নিং অফিসার আমাদের সহায়তা করেনি। বারবার অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার মেলেনি। আমরা বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না।’
মতবিনিময়কালে দলের কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা নেতা এস এম ইয়াসির, আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতা তার সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি নগরীর মুন্সিপাড়ায় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মা-বাবা এবং নগরীর দর্শনায় দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন।