মিরর ডেস্ক : “মাঘের শীতে বাঘ কান্দে” প্রাচীন এই গ্রাম্য প্রবাদ আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। উত্তরের জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘনকুয়াশার সাথে কনকনে ঠান্ডায় হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। শীতে সবচেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। জেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশায় জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা যাবে।
অন্যদিকে, প্রবল ঠান্ডায় গোটা দেশেই জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও; তা নিরুত্তাপ। তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সমাজের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেও, নেই আয়-রোজগার।
এছাড়াও শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হাসপাতালগুলোয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।