ঢাকা : সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য সংবিধান ‘সংস্কার কমিশন গঠন’ করেছে সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এ কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। এর মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত ছয়টি কমিশন গঠন করে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
সোমবার (৭ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার সংবিধান সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেয়া হয়।