পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেশের একমাত্র দিনাজপুরের মাধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলনে একের পর এক নয়া রেকর্ড তৈরী করে নতুন মাইল ফলক গড়েছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-টেস্ট কনসোটিয়াম (জিটিসি)। খনি থেকে সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে নয়া মাসিক রেকর্ড গড়ার পর, এবার দৈনিক ৬ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড গড়েছে জিটিসি।
২৬ জানুয়ারী এক দিনে ৬ হাজার মেট্রিক টনের উপর পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। ইতিপুর্বে এক দিনে এতো পরিমান পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি।
২০০৭ সালের ২৫ মে পাথর খনির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হয়। দৈনিক ৫শ’ মে. টন পাথর উত্তোলন করে মাসে উত্তোলন করা হয় প্রায় ১৫ হাজার মে.টন। সেখানে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি প্রতি মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার পাথর উত্তোলন খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনে নতুন রেকর্ড। প্রতি মাসেই মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত রেকর্ড পরিমানে পাথর উত্তোলনের পর এবার দৈনিক পাথর উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দৈনিক ৬ হাজারের অধিক মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করছে জিটিসি।
মধ্যপাড়া পাথর খনিতে দৈনিক পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। জিটিসি পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহনের শুরু থেকে খনি কর্তৃপক্ষের নানা ধরনের অসহযোগিতা, নানা প্রতিবন্ধকতা, দুষ্ট চক্রের নানামুখী অপতৎপরতা মোকাবিলা করতে হয়। মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন ও উন্নয়নে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর, জিটিসি খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। ফলে লোকসানী এই খনিটি পর পর পাঁচবার লাভের মুখ দেখেছে। খনি সচেতন মহল মনে করছেন, সরকারের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে জিটিসি খনির উন্নয়ন এবং পাথর উত্তোলনের এই রেকর্ড অব্যাহত রাখতে পারবে এবং দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।