ঢাকা : পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা। এসময় ১৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
তার আগে দুপুর ১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’র ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরতরা। সমাবেশ থেকে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা শাহবাগে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ১৩ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরতরা।
যাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে– নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রিমা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বৃষ্টি, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থী আলামিন, সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ নূর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মানিক দাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রাসেল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ ফরিদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজম মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ ও সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম ও সাংবাদিক সুলতানা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, সরকারের বাঁধা কোথায়, কষ্ট কোথায়, ক্ষতি কোথায় সেটা আমার মাথায় আসে না। অনেকে মনে করে চাকরিতে দেরি করে প্রবেশ করলে আবার নতুন করে অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করতে চাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলেও চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। অন্তত আমাদের আশার প্রদীপটা জ্বালিয়ে রাখতে দেন। মানুষের মধ্যে যতক্ষণ শ্বাস আছে ততক্ষণ আশা আছে। আমরা আশায় বাঁচতে চাই। আমরা কোনো অন্যায্য সুবিধা বা অন্যায্য দাবি জানাচ্ছি না।
রব্বানী বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাব আপনারা ছাত্রদের এ দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। তাকে বোঝান ছাত্রসমাজ চায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হোক। কথায় কথায় আমরা যে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উদাহরণ দিই, তাদের দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪৫ বছর। সবচেয়ে ভালো হয় চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা উন্মুক্ত রাখলে। তা না হলে অন্তত ৩৫ বছর করা হোক।