খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবসময়ই জনপ্রিয় তরমুজ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু সাধারণ ক্রেতা তরমুজ বয়কটের ডাক দিলে সেই তরমুজের দাম নেমে আসে অর্ধেকে। তারপরও দিনাজপুরের বাজারে ক্রেতাশূন্য।
সোমবার (১ এপ্রিল) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা গেটের সামনে ফলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের দোকানে একদমই ভিড় নেই ক্রেতাদের। অলস সময় পার করছেন বিক্রেতা। রমজান শুরুতেও তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এর কিছুদিন পর তা নেমে আসে অর্ধেকে অর্থাৎ ৪০ টাকায়। কিন্তু ক্রেতারা ৪০ টাকায় কিনতে নারাজ। তাই বাধ্য হয়ে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল ওঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়।
তরমুজ বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, আমদানি বর্তমানে অনেক বেশি হওয়ায় তরমুজের দাম অনেক কমেছে। বেচাকেনা বেশি না থাকায় হতাশায় ভুগছি। আমদানি আরও বেশি হলে তরমুজ পানির দামে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ক্রেতা একেবারেই নেই।
তরমুজ কিনতে আসা সহরাব আলী জানান, রোজার শুরুতে যে দামে কিনেছি তার তিন ভাগের এক ভাগ দাম বর্তমানে। তাই কেনার কথা ভাবতেছি। এমন সহনশীল দাম থাকলে কিনে খেতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
জবেদ আলী নামের আরও এক ক্রেতা বলেন, তরমুজের দাম অনেক কমে গেছে। আমরা বয়কট করছি বলেই, এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়েছে। এতেই বোঝা গেল, যে পণ্যের দাম বেশি হবে সেটা না খেলেই এমনিতে কমে যাবে।