স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বোরো মৌসুমের নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় দিনাজপুর জেলায় কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সব ধরনের নতুন চাল বস্তা প্রতি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে। এতে স্বস্তি এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। শনিবার দুপুরে দিনাজপুর সদও উপজেলার সবচেয়ে বড় চালের মোকাম পুলহাট বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
পুলহাট বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী শাহীদ জামিল বলেন, ১০-১৫ দিন আগেও জিরাশাইল (মিনিকেট) চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার ৫শ’ ৫০ টাকা। বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২শ’ থেকে ৩ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা। সম্পা চাল বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩শ’ টাকা। সেই চাল দাম কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে জিরাশাইল (মিনিকেট) ৩ হাজার ৫০ টাকা। বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭শ’ ৫০ থেকে ২ হাজার ৮শ’ টাকা। সম্পা চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯শ’ টাকা।
তিনি বলেন, চালের দাম কমে যাওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। আমরাও চাল বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আগে ক্রেতাদের মুখে অনেক রকম কথা শুনতে হতো। এখন তেমনটা শুনতে হয় না। ফলন ভালো হওয়ায় মিলাররা কম দামে ধান কিনতে পারছেন, তাই তারা কম দামে আমাদের কাছে চাল দিচ্ছেন। আমরাও ক্রেতাদের কাছে কম দামে চাল বিক্রি করতে পারছি।
শহরের কসবা এলাকা থেকে চাল কিনতে আসা কলিম উদ্দীন বলেন, তার বাড়িতে ছয়জন খানেওয়ালা। প্রতিমাসেই চাল কিনতে হয়। গত মাসে তিনি ২৮ জাতের ৫০ কেজির চালের বস্তা কিনেছেন ৩ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা দিয়ে। শনিবার তিনি একই চাল কিনলেন ২ হাজার ৮শ’ টাকায়। তিনি বলেন, কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম। এই চালের দাম যদি ২ হাজার ৪শ’ টাকা হতো, তাহলে আরও ভালো হতো। মানুষ স্বস্তি করে চাল কিনে খেতে পারত।
আরেক ক্রেতা উপশহরের বাসিন্দা সহরাব হোসেন বলেন, ৫০ কেজি জিরাশাইল (মিনিকেট) চাল কিনলাম। গত মাসের চেয়ে বস্তায় সাড়ে ৪শ’ টাকা কমে। নতুন চাল কিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম। কারণ আমাদের দেশে তো কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমে না। বোরো মৌসুমে চালের দাম কমায় মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।
শহরের রেল বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, তিনি প্রতিদিন চাল কিনে থাকেন। গত ১০ দিন ধরে ২৮ জাতের চাল কেজিতে ৪ টাকা কমে কিনছেন। এতে তার প্রতিদিন ২০ টাকা করে বেঁচে যায়। এখন তার চাল কিনতে মাসে ৬শ’ টাকা কম লাগে। তিনি বলেন, বাজারটা আরেকটু কম হলে আমরা যারা প্রতিদিন চাল কিনে খাই, তাদের জন্য ভালো হতো।
শহরের বাহাদুর বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী জানান, পাটের তৈরি বস্তার দাম যদি কম হতো, তাহলে চালের দাম বস্তা প্রতি আরও ৫০ টাকা কমে বিক্রি করা যেত।