মিরর ডেস্ক : তাইওয়ানে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি হয়েছে। এতে এক জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫০। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৭:৫৮ মিনিটে হুয়ালিয়েনের প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় কম্পনটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর দেশজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ৭.৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি উৎপত্তি হুয়ালিয়েনের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ছিল। তবে তাইওয়ানের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ভূমিকম্পটিকে ৭.২ মাত্রার বলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ি ও জনবহুল পূর্ব কাউন্টি হুয়ালিয়েন পাথর ধসে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট।
ভূমিকম্পের প্রায় ১৫ মিনিট পর ইয়োনাগুনি দ্বীপের উপকূলে ৩০ সেন্টিমিটার (প্রায় ১ ফুট) সুনামির ঢেউ উঠার কথা জানিয়েছিল প্রতিবেশি দেশ জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ১৯৯৯ সালে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প দেখেছিল তাইওয়ান। তখন ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে ২ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এসময় আহত হয়েছিলেন আরও এক লাখ মানুষ। ধ্বংস হয়েছিল হাজার হাজার ভবন।
তাইওয়ান প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ‘রিং অব ফায়ার’ এর কাছে অবস্থিত। ‘রিং অব ফায়ার’ হলো প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল ঘিরে ভূমিকম্পের ত্রুটির রেখা যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প ঘটে থাকে।