মিরর ডেস্ক : ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান নাতালি রিজ্জো। তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত হওয়ার আগেই খাবার খান। সময়মতো খাবার গ্রহণ করলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকতে হবে না। এটি অবধারিতভাবে আপনার দেহের জন্য উপকারী।
রিজ্জোর মতে, ওজন কমাতে ক্যালোরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে আসল জাদু হলো অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়া থেকে নিজেকে বাঁচানো। তাই, প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে না পারলে প্রতি তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর কিছু খাওয়া উচিত। এতে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে হাত বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যদি আপনি নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান—যেমন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার—তাহলে আপনার ওজন কমানো সহজেই সম্ভব।
প্রতিদিনের খাবারের অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হলে রিজ্জো বলেন, মোবাইলে একটি টাইমার সেট করুন। এটি আপনাকে কিছু সময় পর পর খেতে স্মরণ করিয়ে দেবে, যাতে আপনার দেহের জন্য খাবার গ্রহণ প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
কী খাওয়া উচিত? রিজ্জো পরামর্শ দেন প্রোটিনকে প্রধান হিসেবে রাখতে এবং তা শাকসবজি, ফলমূল, সম্পূর্ণ শস্য ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে সমন্বয় করতে। প্রোটিন আমাদের দেহে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং এটি মাংসপেশি বজায় রাখতে সাহায্য করে—মাংসপেশি বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারে।
প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে সাধারণভাবে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়। কিছু বিশেষজ্ঞ ৯০ থেকে ১২০ গ্রাম প্রোটিন প্রতিদিনের জন্য সুপারিশ করেন।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ডা. ফাতিমা কোডি স্ট্যানফোর্ড এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কিডনির ওপর চাপ ফেলতে পারে, বিশেষ করে কিডনি রোগীদের জন্য।
এখন প্রশ্ন হলো, ভালো প্রোটিনের উৎস কোথায়? চর্বিহীন মাংস, মাছ, ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত পণ্য, শিম এবং টোফু—এসব আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
ওজন কমানো নিয়ে আপনার যদি আরো প্রশ্ন থাকে, তবে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন একটি অভ্যস্থতার যাত্রা—এতে সময় দিতে হয়। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন!