মিরর ডেস্ক : ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এটি স্ট্রেসপূর্ণ জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, বিশ্রাম এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এই রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলছে। এর ভয়ানক প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হলে এই রোগ দেখা দেয়। এর ফলে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদী হলে হৃদযন্ত্র ও রক্তপ্রবাহের রোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি, ডায়াবিটিস জনিত পায়ের ক্ষত, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও চিন্তাশক্তির লোপের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ধরণেরও ডায়াবেটিস হতে পারে, যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, নিওনাটাল ডায়াবেটিস, জেসটেসানাল ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
ডায়াবেটিসের কিছু বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। কিন্তু যদি ঘুমের মধ্যে এই কয়েকটি লক্ষণগুলি অনুভব করেন তা হলে এখনই সাবধান হোন।
ঘন ঘন প্রস্রাব
ডায়াবেটিসের আরেক নাম বহুমূত্র রোগ। রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে রাতে যদি প্রস্রাবের কারণে একাধিকবার ঘুম ভেঙে যায় তা হলে সাবধান হওয়া উচিত।
অতিরিক্ত পানি পিপাসা
ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীরে পানির পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো ঘন ঘন পানি পিপাসা পায়। বিশেষ করে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে যদি পানি পিপাসা পায় বা মুখ শুকিয়ে যায় তা হলে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করান।
ঘুমের মধ্যে ক্লান্তি বা অস্বস্তি
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্তিবোধ হয়। এর ফলে ঘুম ব্যাহত হয়। ঘুমের মধ্যেই শারীরিক অস্বস্তি বাড়তে থাকে।
রাতের বেলা শরীর ঘামা
ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। বিশেষ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) গেলে ঘুমের সময় ঘাম হতে পারে।
ঝিমুনি বা অসাড়তা
দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে স্নায়ু প্রভাবিত হয়। ফলে সারাক্ষণ ঝিমুনি এবং অসাড়তা অনুভুত হয়। বিশেষ করে ঘুমের সময় হাত বা পায় ঝিমঝিম করে।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময় থাকতে থাকতে চিকিৎসা শুরু না করলে, তার প্রভাবে একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।