মিরর ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার পর শুক্রবার পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ১১৫টি প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১১টি হরিণ ও ৪টি শুকর রয়েছে। গোটা সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে এ মরদেহগুলো পাওয়া গেছে গত ছয় দিনে। মৃত প্রাণীর দেহগুলো বিভিন্ন পয়েন্টে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, ৩১ মে পর্যন্ত এ ১১৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসের বানের সঙ্গে ভেসে যাওয়া ১৮টি হরিণ এবং একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেগুলোকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত কটকা, কচিখালী, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীরচর, জ্ঞান পাড়া, শেলার চর থেকে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ থেকে ১২ ফুট। জলোচ্ছ্বাসের ফলে সৃষ্ট জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে বিস্তৃত হয়। এর ফলে হরিণগুলো ভেসে ওঠে, কিন্তু সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে সেগুলো মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
বন বিভাগের অবকাঠামোগত প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬.২৭ কোটি টাকা বলে জানান বন সংরক্ষক।