নীলফামারী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্ত হয়ে রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথেও সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘উত্তর জনপদের নীলফামারীর চিলাহাটি বন্দর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটান বাণিজ্যিক সুবিধা অর্জন করা যাবে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের আন্তরিকতা আছে বলেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক রেলপথ ও সড়কপথ স্থাপন করতে চায় ভারত। এতে বদলে যাবে এসব এলাকার আর্থ-সামাজিক চিত্র।’
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলপথ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সড়কপথে চিলাহাটি রেলস্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন শেষে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী জিরো পয়ন্টে রেলসংযোগ স্থাপনার এবং ভারতের সঙ্গে সড়ক সংযোগের স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় চিলাহাটি এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান সহকারী হাইকমিশনারকে বলেন, ‘এই এলাকার মানুষকে ভারত যেতে হলে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ঘুরতে হয়। চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের চিকিৎসাসেবাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুফল পাবে চিলাহাটির মানুষ।’
ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার ফারহানা আক্তার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারকে বলেন, ‘রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথ নির্মিত হলে দুই দেশের ব্যবসাীয়রা কম খরচে আমদানি-রফতানি করতে পারবেন। এটি জেলাবাসীর পুরোনো দাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই অঞ্চলের মানুষের রেলপথ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। একইভাবে সড়কপথ নির্মাণ হলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম মঞ্জুরুল আলম সিয়াম, জেলা ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, ডোমার থানার ওসি মহসিন আলী, চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান, রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ নেছার উদ্দিন প্রমুখ।