স্টাফ রিপোর্টার : দিনাজপুরে মহা ধুমধামে হয়ে গেলো বট-পাকুড়ের বিয়ে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে অতিথি ছিলেন পাঁচ হাজার। এরআগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় গায়েহলুদ।
ব্যতিক্রমী এ বিয়ে ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক আয়োজন। রঙিন কাপড় দিয়ে নির্মাণ করা হয় দুটি গেট। সাজসজ্জা ও আলপনায় প্রস্তুত করা হয় ছাদনাতলা ও মাড়োয়া। বিয়ে পড়ান চার পুরোহিত। অতিথিদের নিমন্ত্রণপত্র দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথি আপ্যায়নে ছিল নিরামিষ খাবার।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে বট ও পাকুড় গাছের মধ্যে এ বিয়ের আয়োজন করেন এলাকাবাসী ও ভক্তরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গায়েহলুদের আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বরের পিতা হয়েছেন আয়োজক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রকৃতির মঙ্গলের জন্য বট ও পাকুড়গাছের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সনাতন রীতি অনুযায়ী যেভাবে মানুষের বিয়ে হয়, সেভাবে বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হলো। এতে আপ্যায়ন খরচ ধরা হয়েছিল তিন লাখ টাকা। প্রায় পাঁচ হাজার অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়েছে।
দিনাজপুর নাট্য সমিতির সভাপতি চিত্ত ঘোষ বলেন, প্রকৃতি ও ব্যক্তির মঙ্গল কামনায় বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হয়। বাসুনিয়াপট্টি দুর্গা মন্দিরে চকবাজার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রকৃতির মঙ্গল কামনায় এমন বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ে ঘিরে দুদিন ধরে ছিল ব্যাপক আনন্দ-উৎসব।
পুরোহিত বিজয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, লোকাচার মেনে সনাতন রীতি অনুযায়ী ছেলেমেয়েদের যেভাবে বিয়ে হয় সেভাবেই বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হলো। এটিকে বিয়ে বললেও আসলে এটি হলো বট-পাকুড়কে একসঙ্গে স্থাপন করা। কারণ বট-পাকুড় একসঙ্গে জন্মায় না। তাই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।