স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে বিচার বিভাগ সব সময় জনগনের সাথে আছে। জনগনের অধিকার, ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তার প্রাথমিক এবং অত্যন্ত সামান্যতম পদক্ষেপ হলো এই ন্যায়কুঞ্জ। দেশের সব আদালতে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এখানে বিচারপ্রার্থী মানুষ, স্বাক্ষী এবং জামিনে থাকা আসামীরা বসতে পারবেন, বিশ্রাম নিতে পারবেন। বিশ্রামের পাশাপাশি মায়েরা শিশুদেরকে খাওয়াতে পারবেন। দিনাজপুরবাসী যারা বিচারাঙ্গনে আসেন, তারা এখানে সামান্য সময়ের জন্য হলো বিশ্রাম নিতে পারবেন। দিনাজপুর বিচার বিভাগ যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে, মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারে, এই আশা রইলো।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে দিনাজপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ’র উদ্বোধন শেষে সংবাদকর্মী ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে বিচার কার্যক্রমও স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বিচার কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা একটি সাধারন পদক্ষেপ মাত্র। সকল মানুষেরই আইনের সুযোগ নেয়ার অধিকার রয়েছে। সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সহকারী জজ পর্যন্ত সকলে এক কাজে নিয়োজিত আছি।
এর আগে ন্যায়কুঞ্জ’র উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হোসেন, স্পেশাল জজ রেজাউল করিম সরকার, আপীল বিভাগের রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার এসকেএম তোফায়েল হাসান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একটি বকুল ফুলের চারা ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সফেদার চারা আদালত চত্বরে রোপন করেন।